-->

Translate your won

ওভারিয়ান সিস্টের এই লক্ষণগুলো আপনি জানেন কি?

বর্তমান সময়ে নারীদের বেশ আলোচিত এবং পরিচিত একটি রোগ হল ওভারিয়ান সিস্ট অথবা ডিম্বাশয়ের সিস্ট। যেকোন বয়সী নারীদের এই রোগ হতে পারে। তবে সাধারণত ৫০ বছর বয়সের মধ্যে এই রোগ দেখা দেয়। ওভারি বা ডিম্বাশয়ে পানিপূর্ণ থলেকে সিস্ট বলা হয়। নারীদের নানা ধরণের সিস্ট হতে পারে। যেমন ফাংশনাল সিস্ট, পলিসিস্টিক (পিসিওএস) সিস্ট, এন্ডমেট্রিওটিক সিস্ট, ডারময়েড সিস্ট এবং সিস্ট এডোনোমা।
যদিও বেশিরভাগ ওভারিয়ান সিস্ট নন-ক্যান্সারিয়াস (বিনাইন বা কম ক্ষতিকর) প্রকৃতির হয়। তবে  কিছু সিস্ট থাকে যা ক্যান্সারিয়াস(ম্যালিগন্যান্ট) হয়। সাধারণ কিছু লক্ষণের মাধ্যমে এই রোগ প্রকাশ পায়। শুরুতে যদি এই রোগের চিকিৎসা শুরু করা যায়, তবে তা সারিয়ে তোলা সম্ভব। সিস্ট হওয়ার সাধারণ লক্ষণগুলো আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
১। পেট ফুলে যাওয়া এবং ব্যথা হওয়া
ওভারিনে সিস্ট দেখা দিলে পেট বিশেষত নিচের পেট ফুলে যায়। ফুলে যাওয়ার সাথে প্রচন্ড ব্যথা থাকে। তলপেট কামড়ানো এবং ব্যথা ওভারিন সিস্টের কারণে হয়ে থাকে।
২। প্রস্রাবের সমস্যা
সিস্ট হলে অনেক সময় প্রস্রাবে সমস্যা হয়। প্রস্রাবে ব্যথা অথবা অতিরিক্ত প্রস্রাবের বেগ এমনকি বার বার প্রস্রাবের বেগ ওভারিয়ান সিস্টের কারণে হতে পারে।
৩। মাসিক বা ঋতুস্রাবের সমস্যা
অনিয়মিত ঋতুস্রাব ওভারিন সিস্টের অন্যতম এবং প্রধান লক্ষণ। এছাড়া মাসিকের সময় মারাত্নক ব্যথা এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। বিশেষত মাসিক শুরুর আগে এবং পরের ব্যথা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৪। বমি বমি ভাব
ওভারিয়ান সিস্ট বড় হলে সাধারণত বমি বমি ভাব তৈরি করে। সিস্টের ইনফেকশন বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বমি বমি ভাব প্রকট হয়।
৫। ওজন বৃদ্ধি
পেট ফুলে যাওয়া  এবং নিচের পেটে ব্যথার সাথে হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি পাওয়া ওভারিয়ান সিস্টের আরেকটি লক্ষণ তবে ক্যান্সার দেখা দিলে ওজন কমতে থাকে।
৬। পেটের সমস্যা
ওভারিতে সিস্ট দেখা দিলে পেটে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়ারিয়া অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। সাধারণ এই সমস্যা নিয়মিতভাবে দেখা দিলে তা এড়িয়ে যাওয়া একদম উচিত নয়। পেট ফাঁপা, বুক জ্বালাপোড়াও হয়ে থাকে এইসময়।
৭। পিঠের ব্যথা
ওভারিতে সিস্ট দেখা দিলে পিঠে চাপ পড়ে এবং তা থেকে ব্যথা সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ এই কারণে থাইয়ে ব্যথা অনুভব করে। সিস্টের শুরুর দিকে এই সমস্যাটা অনেকের দেখা দেয়।
সাধারণত আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা হয়। তবে সিটি স্ক্যান,  এমআরআই, লেপারোস্কোপি ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমেও এই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব।
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
 

Sports

Delivered by FeedBurner