ওষুধ ছাড়া দুই খাবারেই কমবে উচ্চ রক্তচাপ।

উচ্চ রক্তচাপ অনেক সময়ই নিঃশব্দে বিপদ ডেকে আনে। বর্তমান সময় অনেক কমবয়সিদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, হার্ট অ্যাটাকের নেপথ্যে খলনায়ক হয়ে উঠেছে আচমকা বৃদ্ধি পাওয়া রক্তচাপ। তাই সময় থাকতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। রক্তচাপ কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে, সে নিয়ে বিশ্বজুড়েই চলছে গবেষণা। ওষুধ খাওয়া ছাড়াও পথ্য দিয়ে যদি রক্তচাপ বশে রাখা যায়, তাহলে অনেকেরই উপকার হবে।
এখানে এড বাসান
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুটি জিনিস খাওয়ার কথা বলছেন কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াটারলু-র বিজ্ঞানীরা। তারা দাবি করেছেন, কলা ও ব্রোকোলি খেলে হাইপারটেনশনের ভয় থাকবে না। এই দুইয়ের মধ্যেই রয়েছে ভরপুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম। তাই নিয়ম মেনে ও পরিমিত খেলে শরীরে খনিজ লবণের ঘাটতি হবে না। ‘আমেরিকান জার্নাল অফ ফিজিয়োলজি’-তে এই গবেষণার খবর ছাপা হয়েছে।
এখানে এড বাসান
হাইপারটেনশনের অনেক রোগীর উপরেই পরীক্ষা করে দেখা গেছে, কলা ও ব্রকোলি খেয়ে তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আছে। পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের অনুপাত কীভাবে রক্তচাপের ওপর প্রভাব ফেলে, সে নিয়ে গাণিতিক মডেলও তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানে দেখা গেছে, পুরুষদের রক্তচাপের তারতম্য হওয়ার ঝুঁকি নারীদের চেয়ে বেশি। সে ক্ষেত্রে ব্রকোলির মতো সবজি নিয়ম করে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
গভেশনায় আরও কয়েকটি খাবারের নাম যুক্ত করা হোল
১. কলা:
* উপকারিতা: কলা পটাসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস। পটাসিয়াম শরীরে সোডিয়ামের প্রভাবকে counteract করে এবং রক্তনালীগুলোকে শিথিল করতে সাহায্য করে, যা রক্তচাপ কমাতে সহায়ক।
* কীভাবে কাজ করে: উচ্চ সোডিয়াম রক্তনালীর চাপ বাড়ায়, আর পটাসিয়াম এই চাপ কমাতে সাহায্য করে।
২. বিট (Beetroot):
* উপকারিতা: বিটে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট থাকে, যা শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়। নাইট্রিক অক্সাইড রক্তনালীগুলোকে প্রসারিত (dilate) করে এবং রক্ত চলাচল উন্নত করে, যার ফলে রক্তচাপ কমে।
* কীভাবে কাজ করে: রক্তনালীর প্রসারণ রক্তচাপ কমায় এবং হৃদপিণ্ডের উপর চাপ হ্রাস করে।
৩. রসুন:
* উপকারিতা: রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামক যৌগ রক্তনালীগুলোকে শিথিল করতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণেও ভরপুর।
* কীভাবে কাজ করে: অ্যালিসিন নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্তনালীগুলোকে শিথিল করে।
৪. ওটস (Oats):
* উপকারিতা: ওটসে দ্রবণীয় ফাইবার (soluble fiber) থাকে, যা রক্তচাপ কমাতে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি হার্টকে সুস্থ রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
* কীভাবে কাজ করে: ফাইবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পরোক্ষভাবে সহায়তা করে এবং সামগ্রিক কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
৫. বেরি ফল (যেমন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি):
* উপকারিতা: বেরি ফলে ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা রক্তনালীগুলোকে সুস্থ রাখতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
* কীভাবে কাজ করে: ফ্ল্যাভোনয়েডগুলি এন্ডোথেলিয়াল ফাংশন উন্নত করে, যা রক্তনালীর কার্যকারিতা এবং স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে।
এখানে এড বাসান